Posts

ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি ও খরচ

Image
  প্রতিটি উদ্যোক্তার জন্য তার পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের সাপেক্ষে সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স করা। ট্রেড লাইসেন্স ব্যবসায়ীকে দেশের যেকোনো স্থানে তার ব্যবসাটি পরিচালনা করার স্বাধীনতা দেয়। ব্যবসায়ের অনুকূলে যেকোনো কার্যক্রমের জন্য ট্রেড লাইসেন্স একটি অবধারিত নথি। কেননা এর মাধ্যমেই যে কোন ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে একজন ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণ এবং ব্যবসায়িক সংগঠনের সদস্যতা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের পরিব্যপ্তি বৃদ্ধির নেপথ্যে একটি মোক্ষম বাহক হিসেবে কাজ করে এই অনুমতি পত্রটি। তাই চলুন, জেনে নিই ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি। ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য কোথায় যেতে হয় ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আবেদনকারীকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে যে তার ব্যবসাটি আসলে কোন স্থানীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত হবে। স্থানীয় সরকার বলতে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা বা উপজেলা পরিষদকে বোঝায়। একটি অফিসের নিমিত্তে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে দেশব্যাপী ব্যবসা করা যায়। তবে ব্যবসা প্রসারের স্বার্থে অন্য স্থানীয় সরকারের অধীনে শাখা অফিস করতে হলে সেখানকার জন্য পৃথক ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। ঢাকা শহরের ক্ষেত্রে ক...

Import/ Export Registration Certificate (IRC/ERC) Bangladesh (আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করার নিয়ম)

Image
  চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের এই যূগে মুক্ত-বাজার অর্থনীতি, গ্লোবালাইজেশন এবং একই সাথে তথ্য-প্রযুক্তির ক্রমাগত উৎকর্ষের ফলে ব্যবসা-বানিজ্যকে কোন দেশ বা মহাদেশের সীমানায় আটকে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে, অভ্যন্তরীণ গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বেচাকেনায় তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি কিছু কিছু পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আবার বাংলাদেশেও বৈদেশিক পণ্যের চাহিদা ও ঘাটতি থাকায় আমদানি-রপ্তানি খাতে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। কোন ব্যবসায়ী বা শিল্পোউদ্যোগতা বিদেশ থেকে দেশে কোন কাঁচামাল বা পন্য আমদানি করতে চাইলে আবার বাংলাদেশে উৎপাদিত কোন পন্য বিদেশের বাজারে রপ্তানী করতে চাইলে তার ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট লাইসেন্সে থাকা বাধ্যতামূলক। আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আজকের এই আর্টকেলে আমি  আপনাদের সাথে আলোচনা করব ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট লাইসেন্সের বা সংক্ষেপে IRC and ERC আবেদন কি ভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে। এই লাইসেন্স প্রদান এবং নবায়ন এবং এ সংক্রান্ত রেগুলেটরি অথরিটি হলঃ Office of the Chief Controller of Imports & Exports (CCI&E) প্রথমে জেনে নিই কে বা কারা এই লাইসেন্স পে...

জমি-জমা সংক্রান্ত সমস্যা ও সমাধ এবং জমির খতিয়ানের কি কি নাম ?

  = ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান'' কি? = ''বি এস খতিয়ান'' কি? =“দলিল” কাকে বলে? =“খানাপুরি” কাকে বলে? = ''নামজারি'' কাকে বলে ? =“তফসিল” কাকে বলে? =“দাগ” নাম্বার/''কিত্তা'' কাকে বলে? = “ছুটা দাগ” কাকে বলে? = ''পর্চা'' কাকে বলে ? = ''চিটা'' কাকে বলে ? = ''দখলনামা'' কাকে বলে ? = “খাজনা” ককে বলে? = ''বয়নামা'' কাকে বলে ? = ''জমাবন্দি'' কাকে বলে ? = ''দাখিলা'' কাকে বলে ? = ''DCR'' কাকে বলে ? =“কবুলিয়ত” কাকে বলে ? = “ফারায়েজ” কাকে বলে? = “ওয়ারিশ” কাকে বলে? = ''হুকুমনামা'' কাকে বলে ? = ''জমা খারিজ'' কাকে বলে ? = ''মৌজা'' কি/ কাকে বলে ? = “আমিন” কাকে বলে? = “কিস্তোয়ার” কাকে বলে? = “সিকস্তি” কাকে বলে ? = “পয়ন্তি” কাকে বলে? '''''''''''...

রিটার্ন ফাইলিংয়ের জন্য ফি- যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজে এসসি)

  রিটার্ন ফাইলিংয়ের জন্য ফি প্রাইভেট ও পাবলিক কোম্পানি (কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী) ক) রিটার্ন ফাইলিং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ডকুমেন্ট ফাইলিং করতে ডকুমেন্ট ২০০ টাকা। ৩ বছর পর্যন্ত বিলম্বের ক্ষেত্রে প্রতিবছর বা উহার অংশবিশেষের জন্য ফিস ৫০০ টাকা। ৩ বছরের ঊর্ধ্বের ক্ষেত্রে প্রতি বছরের জন্য ফিস ৭০০ টাকা। খ) বন্ধক, ঋণস্বীকারপত্র ও চার্জসমূহ- জামানতের পরিমাণ (টাকা) ফি (টাকা) ৫,০০,০০০ পর্যন্ত ২৫০ ৫,০০,০০০ এর অধিক থেকে ৫০,০০,০০০ পর্যন্ত প্রতি ৫,০০,০০০ বার তার অংশের জন্য অতিরিক্ত ২০০ ৫০,০০,০০০ এর অধিক প্রতি ৫,০০,০০০ বা তার অংশের জন্য অতিরিক্ত ১০০   গ) বন্ধক ও চার্জের নিবন্ধন বহি পরিদর্শনের ফি = ২০০ টাকা। ঘ) রিসিভার নিয়োগ নিবন্ধনের ফি = ৪০০ টাকা।    বিদেশি কোম্পানি   ক) রিটার্ন ফাইলিং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ডকুমেন্ট ফাইলিং করতে ডকুমেন্ট ৪০০ টাকা। বিলম্ব ফি নির্ধারিত সময়ের পর থেকে প্রতিদিন ২ টাকা করে (প্রতি ডকুমেন্টে ১০০০ টাকার বেশি না)। খ) বন্ধক, ঋণস্বীকারপত্র ও চার্জসমূহ- জামানতের পরিমাণ (টাকা) ফি (টাকা) ৫,০০,০০০ ...

স্ট্রাক অফ- যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজে এসসি)

  স্ট্রাক অফ যখন কোনো কোম্পানি আর চলছে না বা বন্ধ হয়ে গিয়েছে এমনটা ধরে নেয়ার উপযুক্ত কারণ থাকে (যেমন- বার্ষিক রিটার্ন দীর্ঘদিন জমা হয়নি), তখন নিবন্ধক কোম্পানির কার্যক্রম অব্যহত আছে কিনা জানতে চেয়ে নোটিশ দেন (প্রথম নোটিশ)। যদি প্রথম নোটিশের ত্রিশ (৩০) দিনের মধ্যে কোম্পানির কাছ থেকে কোনো উত্তর না পাওয়া যায়, তবে পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কোম্পানিকে দ্বিতীয় নোটিশ দেয়া হয়। দ্বিতীয় নোটিশে বলা থাকে যে, কোম্পানি যদি এই নোটিশের পরবর্তী ত্রিশ (৩০) দিনের মধ্যে উত্তর না দেয়, তাহলে কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করা হবে এই মর্মে অফিসিয়াল গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। যদি কোম্পানি চলছে না বা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এমন উত্তর পাওয়া যায় অথবা দ্বিতীয় নোটিশের ৩০ দিনের মধ্যে কোনো উত্তর পাওয়া না যায়, তখন নিবন্ধক তা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করতে পারেন এবং কোম্পানিকে এই মর্মে নোটিশ পাঠান যে, নোটিশের দিন থেকে ৯০ দিন শেষ হয়ার পর অন্য কোন কারণ না থাকলে উল্লেখিত কোম্পানির নামের নিবন্ধন বাতিল করা হবে এবং কোম্পানিটি বিলুপ্ত বলে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে সরকারি গেজেটে প্রকাশের জন্য যে নোটিশ পাঠানো হয় নিবন্ধক তার এ...

প্রতিষ্ঠান অবসায়ন (উইন্ডিং আপ) Winding Up , (Company/Partnership Winding Up)

  প্রতিষ্ঠান অবসায়ন (উইন্ডিং আপ) ১। উইন্ডিং আপের ধরন   একটি কোম্পানির উইন্ডিং আপ হতে পারে- আদালতের মাধ্যমে স্বেচ্ছায়   স্বেচ্ছায় উইন্ডিং আপের বিভাজন- সদস্যদের ইচ্ছায় উইন্ডিং আপঃ যেখানে দেনা প্রদানে সচ্ছলতার একটি ঘোষণাপত্র দিতে হয়। পাওনাদারদের (Creditor) ইচ্ছায় উইন্ডিং আপঃ যেখানে সচ্ছলতার ঘোষণাপত্র দিতে হয় না। আদালতের তত্তাবধনে উইন্ডিং আপঃ যেখানে কোম্পানি স্বেচ্ছায় উইন্ডিং আপের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় এবং সদস্য বা পাওনাদারদের দায়েরকৃত পিটিশন বিবেচনায় আদালত এই মর্মে আদেশ জারি করেন যে, উইন্ডিং আপ প্রক্রিয়া আদালতের তত্তাবধনে চলবে।      ২। আদালতের মাধমে উইন্ডিং আপ কোম্পানি বা কোম্পানির এক বা একাধিক ক্রেডিটর বা নিবন্ধক আদালত কর্তৃক উইন্ডিং আপের জন্য আদালতে পিটিশন জমা দেন।           পিটিশন উপস্থাপনের সময় থেকে আদালত কর্তৃক কোম্পানির উইন্ডিং আপ প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।              আবেদনকারী /কোম্পানি আদালতের আদেশর ত্...

প্রত্যায়িত অনুলিপি (সার্টিফাইড কপি) প্রদান- যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজে এসসি)

  প্রত্যায়িত অনুলিপি (সার্টিফাইড কপি) প্রদান ক) আরজেএসসি হল বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র কর্তৃপক্ষ যেখানে সকল নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান সমূহের (কোম্পানি, ট্রেড অর্গানাইজেশন, সোসাইটি ও পার্টনারশিপ ফার্ম) রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়। খ) কোন প্রতিষ্ঠানের রেকর্ডের প্রত্যায়িত অনুলিপির জন্য যেকেউ আবেদন করতে পারেন। গ) এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত ফি পাওয়া সাপেক্ষে আরজেএসসি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত রেকর্ডের প্রত্যায়িত অনুলিপি প্রদান করে থাকে। ঘ) তবে লাভ ও ক্ষতির হিসাব শুধুমাত্র ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাছেই প্রকাশ করা হয়।   সার্টিফাইড কপির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এক বা একাধিক রেকর্ডের সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদনপত্র।   যেসব ডকুমেন্টের জন্য সার্টিফাইড কপি প্রদান করা হয়-   প্রাইভেট কোম্পানি (কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী)   ক) অনন্য রেকর্ড অনুসারে চিহ্নিত- আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন বা এর খন্ডিত অংশ, আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডাম বা এর খন্ডিত অংশ, নিবন্ধন পত্র, কোম্পানি নিবন্ধনের ঘোষণাপত্র, পরিচালক হতে সম্মত ব্যক্তিদের তাল...